মিলন মাযহার
সারি-সারি বলাকার উড়াউড়ি। সারবেঁধে দাঁড় করানো; বুলেটবিদ্ধ হবে যতো প্রাণ।
এমনও প্রাণ আছে- নিরেট চাইলেই দিয়ে দেবো! প্রাণগুলো নিভৃতে থাকে। উড়তে থাকে সাদা-শাদা বলাকার পাখনায় মিলে মিশে।
কবি- মিলন মাযহার, এমনই এক নিভৃতচারী কবি। নিজের মধ্যে তার কত-কিছুর বাস। সেই আবাস থেকে জন্মান্ধ কয়েকটা জ্বলজ্যান্ত প্রাণ নিয়ে এসেছে- ক্রসফায়ার দিবে, তাই! প্রাণগুলো’র চোখ বেঁধে রাখা। হাত-পা জোড়াতালি- নিভে গেছে প্রাণবায়ু উড়ে যাবার আগে। সে তো ওই বলাকা পিঠে। এখন মুক্তি কাল। বলছি কবি এখন তোমার আরও কয়েক জোড়া প্রাণের প্রসব বেদনায় কাটাবার কাল। -সম্পাদক
“মাটি; ওগো পায়ের তলার
মাটি, তুমি খাঁটি। সেই সে
খাঁটি কেমন করে যে বদলে
যাওয়া চোরাবালি ঘোর!”
- মিলন মাযহার
জন্মান্ধ প্রকাশিত কবি’র কবিতারা: কাঠুরিয়া, মাটি, জলভূমি-, সুপ্রিয় রাতসমূহ, উড়াউড়ি,
এমনও সন্ধ্যায় সান্ধ্যভাষার মিঠে আলাপন ভাল
|
কাঠুরিয়া
কাঠুরিয়া, তুমি ছেঁটেছ ছায়া গাছ,
কাঠুরিয়া, তুমি কেটেছ মায়া গাছ ।
আহা রাক্ষুসে কুড়াল-ছুরি-চাকুতে
ছিন্ন আমার হাত পা মাথা
পাঁজরের হাড়
খোলা মাঠ ভিজিয়ে শুয়ে আছে
রক্ত !
মাটি
মাটি; ওগো পায়ের তলার
মাটি, তুমি খাঁটি। সেই সে
খাঁটি কেমন করে যে বদলে
যাওয়া চোরাবালি ঘোর!
আর আমাকে বালির
করাতকলে ছলেবলে
শুইয়ে পরিপাটি ফালি
ফালি দেহখন্ড কাটা
কেন মাটি, খেলিছ এ খেলা?
জলভূমি-
ডুবিয়া যাও যদি নড়িয়া চড়িয়া
বসিয়া তবু ভাসিয়া উঠিও
একদিন কিন্তু দাঁড়াইয়ো,
চিরকাল কেবল শুইয়া থাকিয়ো না
শুভ্র ফেনিল বুদ্বুদের মতোন জলে
অথবা অতল জলের গহিন তলে
যেনতেন যেনো যেওনা মিলিয়ে
সুপ্রিয় মিলনের সাঁকো,
মুষ্টিতে চিরকাল ধ'রে রাখো
পলকা আমিই মরে যেতে পারি
খেলিতে খেলিতে আমারি
যন্ত্রণাময় করপুটে
বেদনাহত দানাগুলি লুটেপুটে
বেদানার লাল দানাগুলি খুঁটে খুঁটে
ভাঙন বুকে জড়াব-
ছড়াবো রেখে যাবো
বেদানার সুস্বাদু রসে-কষে
তরমুজের মতোন লাল রক্ত-পুঁজ-
কুষ্ঠ ক্ষত-বিশ্রি ক্ষয় রোগের
ছড়িয়ে পড়া জীবাণুবাহী হাওয়ায়,
হাওয়ায় সহজেই দেবো বিলিয়ে
সুপ্রিয় রাতসমূহশাদা শাদা অযুত পৃষ্ঠা ভ'রে তুলবো
বলে, লতা'দি দিলেন- মিশকালো
কালির দোয়াত, পাতাদি দিলেন-
রাতভোর ফুলশয্যার
সুরভিত মৌতাত...
এ যেনো খোলা আটচালা ঘরে
ঝলসানো প্যাপিরাসের ছাই, উড়তে
উড়তে যারপরনাই ছড়িয়ে পড়েছিল
নি:শব্দে বিশ্বের পথে প্রান্তরে
ক্রমান্বয়ে রাত ফুরিয়েছিল,
যেইরূপে
আজও যায় যেমন
হায়! তেমনতরো রাতসমূহ আর
আসে নাই পৃথিবীতে , আসে না,
আসিতেছে না!
উড়াউড়ি
শাঁই শাঁই বাতাসে উড়তে উড়তে আমি
জাপটে ধরি পাথরকুচি মেঘ
চুইয়ে চুইয়ে পড়ে রক্তের ফোঁটা, পৃৃথিবীর
নিঠুরও তুমি জানলে না শব রক্তে
ভেসে যাচ্ছে সব, হু হু বয়ছে
রক্তধারা বিশ্বভরা বিশাল প্রান্তরে-
অন্তরে
কোথাও পেলাম না তোমারে
ওহে প্রিয় সুমতি তোমাতে আমাতে
কত যে তফাৎ! আরও
কারও যেনো শতেক উৎপাত!
হায়!
একদিনও, কোনদিনও না আমাদের হয়েছিল দেখাশোনা!
এমনও সন্ধ্যায় সান্ধ্যভাষার মিঠে আলাপন ভাল
এমনও সন্ধ্যারাতে সান্ধ্যভাষার মিঠে
আলাপন ভালো; ঝিলমিল
জোনাকি পোকার ঝলমল আলো, নক্ষত্র-
সভার বোকা ঋষি যে বার্তা পাঠালো
মুঠোফোনে, তার সংকেত
লিপিখানি স্পষ্ট বোঝা যায়,
না কি কালো?
ও আমার কালো আলো,
এমনও সন্ধ্যায় সান্ধ্যভাষার
মিঠে আলাপন ভাল।
darun
ReplyDeletenot bad
ReplyDeletekakku. aktu. valo. koida. kobita lakhan. ar. aktu. chul. a kolob. r. shave. koren. apnare. dakhte. valo lagbe...
ReplyDelete