কালো আগস্ট

কালো আগস্ট
যে ছবিটি দেখছেন তিনি বাংলা দেশ স্বপ্নে যারা বিভোর ছিলেন তাদের খুব কাছের মানুষ- ভালোবাসার মানুষ। আগস্ট মাস যেন সেই নামটির সাথে মাতোম করে। শেখ মুজিবুর রহমান আগস্ট না আসলে নিশ্চয় আমাদের সন্তানেরা নিরাপদ সড়কের দাবী নিয়ে দাঁড়াবার প্রয়োজন বোধ করতো না। আগস্ট না আসলে নিশ্চয় আমরা একটা সমাজবাদী রাষ্ট্রের অভ্যুত্থান দেখতে পেতাম। বিনম্র শ্রদ্ধা প্রিয় মানুষ!!!

02 May 2015

মে এবং ফাঁসির মঞ্চে জীবনের গান

তোমায় দেখে আমি নিজেকে দেখি না। তোমার চোখে আমি আমার জন্য কেবল অনুকম্পা খুঁজি। তোমার দুটি হাত হয়ে উঠুক এক-একটা ধাতব অস্ত্র। তুমি একদিন মুক্ত কর আমায় হে মানব শিশু। তোমার হাতেই থাক আমার মুক্তি। ছবি কার্টেসি: জিএমবি আকাশ
'একজন শ্রমিক ঘন্টা কিংবা ১০ ঘন্টাই কাজ করুক, সে দাস-'
এলার্ম নামক একটি পত্রিকার ওই কলাম আগুনে ঘি ঢেলে দেয়। শ্রমিকরা এতদিনে বুঝে গেছে শোষকশ্রেণী আদতে তাদের মানুষই মনে করে না। প্রাপ্যতো পরের হিসাব।
সময় সকল শ্রমিকদের সাথে একাত্ম হয়ে দল এবং সংগঠন শক্তিশালী করে সমাজতন্ত্রপন্থীরা

মে দিবস এক্সক্লুসিভ: বিদ্রোহী কৃষক




যা পারো নাও
মাথা ঘাম হাত পা আর শরীর
শ্রমিকের একটা একটা দিন।
সভ্যতা তুমি আমার নিবিষ্ট একাগ্রতার
সারি সারি অট্টালিকা, চুল চেরা চৌহদ্দি
শ্রমিকের হাতে আঁকা ঘামে ভেজানো কাঁঠখড়ি রঙ
রক্তে আর সুতোয় বুনেছে এক স্বপ্ন-জাদুর মিশ্র দিন

কবিতে ছবিতে
অভাবের স্বভাবে
দাঁত খিঁচানো কালো জ্বল জ্বলে
মুখে নোনতা স্বাদের জল চ‌্যুঁইয়ে পড়ার মতোন
সাদা মলিন শিশুর নির্বাক চাহনীর অসভ্য কোল জুড়ে
স্বপ্ন আর বাঁচা মরা সমানে সমান।

এখন বাঁচা মরা
লড়াকু বিপ্লবীর শ্রেণীহীন
হওয়ার তটরেখায় একফালি রোদ্দুর
এ জীবন কামারের, কুমারের, মুচারের
শ্রমিকের আর ঘামসিক্ত অশ্রুসজল প্রাণের।

যা পারো নাও
মাথা ঘাম হাত পা আর শরীর
শ্রমিকের একটা একটা দিন।

জ্বলে উঠবার দিন
এই দাঁড়াও
মুষ্টি হাত শক্ত চিবুক দাঁড়াও
হাতুড়ি শাবল দাঁড়াও
বজ্র হয়ে বাজাও
অস্ত্র হয়ে বাঁচাও
শ্রম তুমি দাঁড়াও
শ্রমিক আমায় জাগাও

উৎসর্গ : সাম্প্রতিককালে বাংলার পোশাক কারখানায় নিহত আমার সব ভাই-বোন এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে থাকা সব শ্রমিক ভাইয়ের প্রতি
কবিতা জ্বলে উঠবার দিন // বিদ্রোহী কৃষক




মে এবং ফাঁসির মঞ্চে জীবনের গান

এটা বলা বাহুল্য যে ১৪-১৫ শতকে ইউরোপে ধনতান্ত্রিক উৎপাদন ব্যবস্থার সামষ্টিক পরিসরেই শ্রমিক শ্রেনীর উদ্ভব ঘটে। বিষয়টি পরিস্কার হয়ে উঠে যখন দেখা গেল (১৬ শতকে) কৃষকদের ভূমিহীন করা হচ্ছে। তখন থেকেই বোধহয় শ্রমিক মন মানুষের জীবনে লালিত হতে থাকলো। খুব সম্ভব সবাই বলবে- বাংলা দেশও এর ব্যতিক্রম নয়। এখন আমাদের কৃষকদের কৃষি বিমুখ করার অন্যায় চেষ্টা করা হচ্ছে। তাদের কথিত গার্মেন্ট শিল্পের শ্রমিক বানানো হচ্ছে। যদিও এই দেশে গার্মেন্ট কখনও শিল্প হওয়ার উপযোগীতা তৈরি করতে পারেনি! অথচ গার্মেন্ট যে ব্যাপকভাবে প্রসেসিং করা হচ্ছে তাকেই কার্যতভাবে শিল্পরূপে দেখিয়ে দেয়া হচ্ছে।

আমরা একে বলতে পারি প্রসেসিং জোন। এর মধ্যে আমরা দেখেছি একের পর এক ইপিজেড গড়ে তোলার কথা। এর পেছনে কারণ কি?

কারণ- শ্রমমূল্য কম থাকা এবং শ্রমিকলভ্যতা।

এ দেশে কমমূল্যে শ্রমিক পাওয়া যায়।

অর্থাৎ ১৬ শতকের সেই ইউরোপের সাথে বর্তমান বাংলাদেশের শ্রমিকদের কি কোনও পার্থক্য আমরা করতে পারছি?

উত্তর অবশ্যই, না।

সে সময় ইউরোপে কৃষকদের ভূমিহীন করা হয়। আর ওই শতকের পূর্বেই ভাড়াটে জনসংখ্যার একটি ক্ষুদ্র অংশ ভাড়াটে শ্রমিক বলে কাজ করছিল। ফলে এক প্রকার নিখুঁত পরিকল্পনার মাধ্যমে জোর করে কৃষকদের ভূমিহীন করে সৃষ্টি করা হয় শ্রম বাজার।
সে সময়ও সোচ্চার হতে থাকে মানুষ। যদিও সে সময় পুজিবাদীদের বিরুদ্ধে ছিল ব্যাক্তিগত প্রতিবাদ। পরে ধীরে ধীরে তা স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনের দিকে মোড় ঘোরাতে থাকে। তবে ১৮ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে ও ১৯ শতকের গোড়ার দিকে ইংল্যান্ডে লুডিট নামে গণবিদ্রোহ ঘটেছিল। কার্য ত ফল লাভ না করলেও ওই বিদ্রোহ তখনকার মানুষকে ভাবিয়েছিল। এবং শ্রমিকদের একাত্ম হওয়ার দিকে কাজ করেছে।

হে মহান বিপ্লবী বন্ধুরা আপনাদের জানা আছে, ১৮৩১ সালে ফ্রান্সে লিয়োঁ শহরে শ্রমিকদের যে বিদ্রোহ ঘটে তা সরকারী সেনাবাহিনী কতোটা নির্মমভাবে দমন করে৷ সে ইতিহাস ভুললে চলবে না। আর আমরা জানি সেই ১৯ শতক থেকেই ইউরোপে বুর্জোয়া বিরোধী শ্রমিক সমাজের সক্রিয় আন্দোলনের কথা।

এছাড়া ১৮৪৪ এর জুনে সাইলেসিয়ায় কারখানা মালিকদের বিরুদ্ধে বস্ত্রকল শ্রমিকদের বিদ্রোহ আশাবাদী করে তুলে শ্রমিক সমাজকে। যদিও ওই আন্দোলন শেষটায় সামরিক বাহিনী তীব্রভাবে দমন করে।

তবে এর মধ্যে স্পষ্ট হয়ে উঠে শ্রমিক সমাজের সাথে বর্জোয়াদের তফাৎ।
শ্রমিকরা ক্ষেত্রে বিশেষে দাস-এর মত আচরণ পেতে থাকে। শ্রমঘণ্টার কোনও ঠিক নাই। ফলে মানবেতর জীবন হয়ে দাঁড়ায় একটা বড় অংশের। জীবন যেখানে নিশ্চিত না সেখানে বেঁচে থাকার প্রত্যয় পাওয়া ভার! তাই দিন দিন জেগে উঠতে থাকে শ্রমিক সমাজ। আর লাল নিশান যেন ক্রমেই তাঁদের দিকে ধাবিত হতে থাকে।

সে সময় ৪০-৬০ দশকে শ্রমিকরা মাঝারি মানের মজুরী পেত যা ছিল আগেকার একশ বছরের তুলনায় কম। অথচ কর্মঘণ্টা সেই ১৩-১৬ ঘন্টা ৷ ছিল না সাপ্তাহিক কোন বন্ধ।

এর সাথে নিরাপত্তাহীনতা, রোগ-শোক নিত্যকার সাথী।

আর ভয়াবহভাবে মালিকশ্রেণী মজুরী কর্তন করতো। ফলে ১৮৬০ সালে শ্রমিকরাই মজুরি না কেটে দৈনিক ৮ ঘন্টা শ্রম নির্ধারণের দাবী জানায়। যদিও সে দাবী আমলে নেয়নি বুর্জোয়াদল। কারণ শ্রমিকদের কোনও সংগঠন ছিলনা। ফলে দাবীও জোরালো করা সম্ভব হয়নি।

সে সময় শ্রমজীবিদের মাঝে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়তা পায় সমাজতান্ত্রিক মতাদর্শ। কারণ শ্রমিকরা চাইছিলো একটা শোষণহীন সমাজ ব্যবস্থা। এবং তারা বুঝে গেল শ্রমের বিপরীতে ন্যায্য প্রাপ্যের অধিকার।

এরই ধারাবাহিকতায় ১৮৮০-৮১’র দিকে শ্রমিকরা প্রতিষ্ঠা করে Federation of Organized Trades and Labor Unions of the United States and Canada [পরে ১৮৮৬ সালে যেটির নাম পরিবর্তন করে করে রাখা হয় American Federation of Labor]।

প্রাথমিক এই ব্যবস্থার মাধ্যমেই সংগঠিত হতে থাকে শ্রমিক। সঞ্চয় করতে থাকে শক্তি।
ওই সংঘের প্রথম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপটি নেয়া হয় ১৮৮৪ সালে। তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে একটা প্রস্তাব উত্থাপন করে এবং সার্বজনীনভাবে পাশ করে।

প্রস্তাবটি ছিল- দৈনিক ৮ ঘণ্টা শ্রম। 
পরে শ্রমিকদের ওই প্রস্তাব কার্যকরের জন্য ১৮৮৬ সালের ১লা মে পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয় ওই শ্রমিক সংঘ। একইসঙ্গে আলোচ্চ্য সময়ের মধ্যে সংঘের আওতাধীন সকল শ্রমিক সংগঠনকে প্রস্তাব বাস্তবায়নে সর্বাত্মকভাবে সংগঠিত হওয়ার আহ্বান জানাতে থাকে।  

শ্রমিকরা আগেই বুঝে গেছে পুজিপতি বনিক-মালিক তাদের লোক নয়। শোষক কখনও নির্যাতিতের পাশে দাঁড়ায় না।
এরই মধ্যে ১লা মে’কে ঘিরে চলতে থাকে প্রতিবাদ, প্রতিরোধের আয়োজন। আর ওই শিকাগো হয়ে উঠে প্রতিবাদ প্রতিরোধের কেন্দ্রস্থল।

আবার ৮০‘র দশকেও ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের মাধ্যমে ৮ ঘন্টা কর্মদিবসের জন্য সক্রিয় আন্দোলন গড়ে তোলে শ্রমিকরা৷ওই আন্দোলন ব্যাপক বিস্তৃতি লাভ করে ৷

দিনটি ছিল ১ মে। সাল ১৮৮৬।

যুক্তরাষ্ট্রের সব জায়গায় মিছিলের ঢেউ। ধর্মঘটে অচল শিকাগো। শ্রমিকরা তখনো শোষিত, সপ্তাহের প্রতিদিনই গড়ে প্রায় ১০ থেকে ১২ ঘন্টার অমানবিক পরিশ্রম করে কিন্তু তার বিপরীতে নগন্য মজুরী।
ফলে শ্রমিকরা স্বচ্ছ চোখে দেখতে পেল পুজিপতি এবং বুর্জোয়াশ্রেণীর শোষণ নীতির বিরুদ্ধে তাদের সংগঠিত হওয়া ছাড়া বিকল্প পথ নেই। 

'একজন শ্রমিক ৮ ঘন্টা কিংবা ১০ ঘন্টাই কাজ করুক, সে দাস-ই'
এলার্ম নামক একটি পত্রিকার ওই কলাম আগুনে ঘি ঢেলে দেয়। শ্রমিকরা এতদিনে বুঝে গেছে শোষকশ্রেণী আদতে তাদের মানুষই মনে করে না। প্রাপ্যতো পরের হিসাব।
এ সময় সকল শ্রমিকদের সাথে একাত্ম হয়ে দল এবং সংগঠন শক্তিশালী করে সমাজতন্ত্রপন্থীরা।


ফলে তারা কোনও সারা পেল না। আর এরই মধ্যে শ্রমিকরা ধীরে ধীরে প্রতিবাদ জানাতে শুরু করে। এবং প্রস্তাব বাস্তবায়নে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হতে থাকে।

সাভারের রানা প্লাজায় নিহত শ্রমিক
১৮৭৭ সালে শ্রমিকরা একবার রেলপথ অবরোধ করলে পুলিশ ও ইউএস আর্মি বর্বরতা চালায়। আর একই পদ্ধতিতে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বাহিনী ১লা মে মোকাবেলার প্রস্তুতি নিতে থাকে। কারণ শ্রমিকদের দাবী প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।

ধর্মঘটী শ্রমিকদের শায়েস্তা করার জন্য শিকাগো বানিজ্যিক ক্লাব ইলিনয় প্রতিরক্ষা বাহিনীকে দুই হাজার ডলারের মেশিন গান কিনে দেয়।

১ মে

প্রায় ৩০০,০০০ শ্রমিক রাস্তায়। শহরময় মিছিলের ঢেউ। শিকাগোতে শ্রমিক ধর্মঘট আহবান করা হয়েছে। প্রায় ৪০,০০০ শ্রমিক কাজ ফেলে শহরের কেন্দ্রস্থলে সমবেত।
চলছে বারুদ স্ফোরণ বক্তৃতা, মিছিলে, মিটিং, ধর্মঘট, বিপ্লবী আন্দোলনের ডাক।
উত্তাল মে।
পার্সন্স, জোয়ান মোস্ট, আগস্ট স্পিজ, লুই লিং সহ আরো অনেকেই শ্রমিকদের পথিকৃত হয়ে উঠেন।

বাড়তে থাকে শ্রমিকের ঢল।
এর মধ্যে ৩ মে (অনেকেই মত দেন ৪ মে) ১৮৮৬ সালে সন্ধ্যাবেলা হালকা বৃষ্টির মধ্যে শিকাগোর হে-মার্কেট এলাকায় শ্রমিকরা মিছিল করে জড়ো হন।
তাদের মধ্যে আগস্ট স্পিজ কিছু বলছিলেন। দূরে দাঁড়ানো পুলিশবাহিনীর কাছে একটা বিস্ফোরণ ঘটে। এতে এক পুলিশ নিহত এবং ১১ জন আহত হয়, পরে আরো ৬ জন মারা যায়।
সে সময় নির্বিকার পুলিশ অতর্কিতে হামলা শুরু করে যা সাথে সাথেই রায়টে রূপ নেয়। যদিও বিস্ফোরণের ঘটনাটির সূত্র না ধরেই পুলিশ উদ্দেশ্যমূলকভাবে হামালা চালায়। ফলে এটা স্পষ্ট যে ঘটনাটি ছিল সাজানো।
পুলিশের হামলায় শহীদ হন ১১ শ্রমিক। আর পুলিশ হত্যা মামলায় আগস্ট স্পিজসহ আটজনকে অভিযুক্ত করা হয়। পরে ১৮৮৭ সালের ১১ই নভেম্বর এক প্রহসন বিচারে উন্মুক্ত স্থানে ৬ জনের ফাঁসির দণ্ড নিশ্চিত করা হয়।
আর এর আগে লুই লিং কারাগারে আত্মহত্যা করেন। এছাড়া একজনকে পনের বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

ফাঁসির মঞ্চে আরোহনের পূর্বে আগস্ট স্পিজ বলেছিলেন,
“আজ আমাদের এই নিঃস্তব্ধতা, তোমাদের খবরদারি থেকেও শক্তিশালী হবে।”


পরবর্তীতে জাতিসংঘের মতো সংঘে বিষয়টি ব্যাপকভাবে গুরুত্বপায়। এবং একটি আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন বা আই ত্রলও) প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়ে শ্রমিকদের অধিকারসমূহ স্বীকৃতি লাভ করে।
আর শিল্প মালিক ও শ্রমিকদের তা মেনে চলার আহবান জানানো হয়।
যদিও যুগে যুগে শোষণের ধরণ পরিবর্তন হয়েছে। ফলে সমস্যার উদ্ভব নতুনভাবে হচ্ছে। নানা উপায়ে শ্রমিকদের নিত্য হেনস্তা চলছেই।

বাংলাদেশ নিজেও লেবার অর্গানাইজেশন কর্তৃক প্রণীত নীতিমালার স্বাক্ষরকারী দেশ হলেও এখানে প্রতিদিন আমরা শ্রমিকদের মানবেতর জীবন যাপনের খবর দেখছি। শোষণের কথা শুনছি। একটা ছোট্ট খুঁপড়ি ঘরে ১০/১২ জনের থাকার কথা জানছি। অথচ আমরা তাদের গোল্ডেন গার্ল আখ্যা দিয়েছি।
এটাই হলো শোষণের নিয়ামক নির্ধারণের পথ। এখন দেখার বিষয় আমাদের সমাজে শ্রমিক জাগে কি না? আমাদের কথিত সমাজতান্ত্রিক জীবন ব্যবস্থার স্বপ্ন দেখা মানুষেরা জাগে কি না! যাদের হাত ধরে রাস্তায় নামবে শ্রমিক। যাদের হাত ধরে জেগে উঠবে শ্রমিক। যাদের হাত ধরে শক্তিসঞ্চয় করবে শ্রমিক।

এ জীবন কাকের নয় শালিকের নয়। কাকের জীবন থাক কাকের। শালিকেরটাও তাই। এ জীবন মানবের।

সর্বশেষ, সাংবাদিক কলামিস্ট মঞ্জুরুল হক মহান মে দিবসে’র এক প্রতিক্রিয়ায় বর্তমান প্রেক্ষাপটকে সংশ্লিষ্ট করে জানান, “মহান মে দিবসে এটা ভেবে আশাবাদী হতে চাই.. বুর্জোয়া দালাল কমিউনিস্ট নামধারী বামদের ভ্রান্ত নীতি-কৌশলের কারণে নষ্ট হওয়া শিল্পীয় শ্রমিকেরা ফের সংগ্রাম মুখর, আন্দোলন মুখর হয়ে উঠবে। শোষক বুর্জোয়া দলগুলোর 'পকেট প্রলেতারিয়েত' হয়ে নিজ শেণীর বিরুদ্ধে বেঈমানী করা শ্রমিকেরা নিজের শৃঙ্খল ভাঙ্গবে, সর্বহারা শ্রেণীর শৃঙ্খল ভাঙ্গবে।
'শৃঙ্খল ছাড়া সর্বহারা শ্রেণীর হারাবার কিছু নেই, জয় করবার জন্য রয়েছে সারা বিশ্ব'।”


মে দিবস এক্সক্লুসিভ: বিদ্রোহী কৃষক
ছবি: জিএমবি আকাশ এবং অনলাইন

6 comments:

  1. গুরুত্বপূর্ণ লেখা। পরিশ্রম সার্থক হোক।

    ReplyDelete
  2. অনেক অনেক ধন্যবাদ মঞ্জু ভাই।

    ReplyDelete
  3. খুব ভালো লাগলো।

    ReplyDelete
  4. “আজ আমাদের এই নিঃস্তব্ধতা, তোমাদের খবরদারি থেকেও শক্তিশালী হবে।”

    ReplyDelete
  5. হ্যাঁ। আমরা ধীরে ধীরে সেই শক্তির দিকেই যাচ্ছি। একদিন আমরা সজোরে তাদের আঘাত করবো। সমূলে উৎপাটন করবো।

    ReplyDelete