নেপাল সরকারের সাহায্যের আবেদন
২৫ এপ্রিলের ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা এরই মধ্যে ছয় হাজার ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছে আরো প্রায় ১৪ হাজার মানুষ।
ইইউ’র এক কর্মকর্তা জানান, নিখোঁজ ব্যক্তিদের অধিকাংশই পর্বতারোহী।ভূমিকম্পের সময় তারা মাউন্ট এভারেস্ট বা দুর্গম লাংটাং পাহাড়ী অঞ্চলের আশেপাশে অবস্থান করছিলেন।
তাদের অনেকেই জীবিত আছেন এবং ভূমিকম্পের কারণে ওই সব অঞ্চলের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় তারা যোগাযোগ করতে পারছেন না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন ওই কর্মকর্তা।
এদিকে ভয়াবহ এ দুর্যোগের পর আরো বেশি সাহায্য পাঠানোর আবেদন জানিয়েছে নেপাল সরকার। বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে উদ্ধারকাজ ও ত্রাণ বিতরণের জন্য হেলিকপ্টার চাওয়া হয়েছে। দুর্গত নেপালিদের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা চেয়েছে জাতিসংঘ এবং ইইউ’ও।
নেপালে পর্বত আরোহণের জন্য পর্বতারোহীদের কাছে এপ্রিল ও মে মাস সবচেয়ে জনপ্রিয় সময়। এ সময় বিশ্ব নানা জায়গা থেকে প্রচুর পর্বতারোহী নেপাল আসেন।
ইইউভুক্ত ২০ নাগরিকের মৃত্যু
ভূমিকম্পের পর এখন পর্যন্ত ইইউভুক্ত দেশগুলোর ২০ জন নাগরিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তাদের কেউ কেউ ভূমিকম্পের কারণে সৃষ্ট তুষার ধসে চাপা পড়ে মারা গেছেন। তুষার ধসে মাউন্ট এভারেস্টের বেইজ ক্যাম্পের কিছু অংশ চাপা পড়েছে।
নেপালে নিযুক্ত ইইউ দূত রেনজি তীরিঙ্কা জানান, কর্তৃপক্ষ ইইউ ভূক্ত দেশগুলোর প্রায় এক হাজার নাগরিকের কোন খোঁজ পাচ্ছে না।
কাঠমান্ডুতে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তারা নিখোঁজ। যদিও তাদের বর্তমান অবস্থা কি তা আমরা জানি না।
তারা জীবিত আছেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন ইইউ’র অন্য এক কর্মকর্তা।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, অনেক ভ্রমণকারী নিজ নিজ দূতাবাসে নিবন্ধন ছাড়াই নেপালে গেছেন। এখন তাদের সম্পর্কে তথ্য পাওয়া বেশ কঠিন হয়ে যাবে।
সূত্র: উন্নয়ন সংবাদ / রয়টার্স
No comments:
Post a Comment